আজকের বিশ্বে, ভ্রমণ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যবসা, শিক্ষা, পর্যটন, অথবা কেবল নতুন অভিজ্ঞতা লাভের জন্য মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাত্রা করে। এই যাত্রাকে আরও সহজ করে তোলে একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট।

শক্তিশালী পাসপোর্ট কী ?

শক্তিশালী পাসপোর্ট বলতে বোঝায় এমন একটি পাসপোর্ট যা দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায়। পাসপোর্টের শক্তি নির্ধারণ করা হয় সেই দেশের সাথে কতগুলো দেশের ভিসা মুক্ত চুক্তি রয়েছে তার উপর।

  • Facebook
  • Twitter
  • LinkedIn

পাসপোর্ট সংবিধান

“পাসপোর্ট সংবিধান” একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা পাসপোর্ট নির্গতি ও ব্যবহারের নির্দেশনা সম্পর্কে অধিকারের একটি সেট নির্ধারণ করে। প্রতিটি দেশের একটি পাসপোর্ট সংবিধান থাকে, যা পাসপোর্ট নির্গতি, পাসপোর্ট অনুমোদন, পাসপোর্ট মেয়াদ, এবং পাসপোর্ট ব্যবহারের শর্তাদি সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়। এটি নির্দেশনা দেয় যে, কিভাবে একটি পাসপোর্ট আবেদন করা হবে, কোনো ধরণের পাসপোর্ট সম্পর্কে সুপারিশ ও বন্ধুত্বপূর্ণতা রক্ষা করা হবে, এবং যে কোনো ধরণের পাসপোর্ট নির্গতি বা সর্বোচ্চ মেয়াদ পূর্ণতা প্রাপ্ত পাসপোর্টের সমর্থন এবং অনুমোদন করা হবে। এটি আপনার দেশের আইনের অনুসারে পাসপোর্ট নির্গতি এবং ব্যবহারের নির্দেশনা স্থাপন করে তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত সংশোধিত ভার্সন এবং নতুন সরঞ্জাম অনুসারে নিশ্চিত করে। এই সংশোধিত সংবিধান পাসপোর্ট ধারকের সহায়তা করে তাদের পাসপোর্ট এবং সংশ্লিষ্ট সুবিধার সম্পর্কে সঠিক ধারনা প্রদান করে।

শক্তিশালী পাসপোর্ট বলতে বোঝায় এমন একটি পাসপোর্ট যা দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায়। পাসপোর্টের শক্তি নির্ধারণ করা হয় সেই দেশের সাথে কতগুলো দেশের ভিসা মুক্ত চুক্তি রয়েছে তার উপর।

আজকের বিশ্বে, ভ্রমণ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যবসা, শিক্ষা, পর্যটন, অথবা কেবল নতুন অভিজ্ঞতা লাভের জন্য মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাত্রা করে। এই যাত্রাকে সহজ করে তোলে একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট।

  • Facebook
  • Twitter
  • LinkedIn

একটি শক্তিশালী পাসপোর্টের সুবিধা 

• ভ্রমণ সহজ করে তোলে: শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকলে ভিসার জন্য আবেদন করার ঝামেলা এড়ানো যায়। • সময় বাঁচায়: ভিসার জন্য আবেদন এবং অনুমোদনের প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারে। শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকলে এই সময় সাশ্রয় হয়। • অর্থ সাশ্রয় করে: ভিসার জন্য আবেদন করতে ফি দিতে হয়। শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকলে এই অর্থ সাশ্রয় হয়। • নতুন সুযোগের দরজা খুলে দেয়: শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকলে বিভিন্ন দেশে কাজ, পড়াশোনা, ব্যবসা করার সুযোগ বৃদ্ধি পায়। • আন্তর্জাতিক খ্যাতি বৃদ্ধি করে: শক্তিশালী পাসপোর্ট থাকলে একটি দেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতি বৃদ্ধি পায়।

আজকের আলোচনায় আমরা ২০২৪ সালের কিছু শক্তিশালী পাসপোর্ট সম্পর্কে জানবো যা আপনার ভ্রমণের দরজা খুলে দিতে পারে।

১) সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE):

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট হল সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE)। UAE-র নাগরিকরা ১৯০ টিরও বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন।

২) জাপান:

জাপান দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শক্তিশালী পাসপোর্টের দেশ ছিল। বর্তমানে জাপানের পাসপোর্ট ১৯০ টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।

৩) দক্ষিণ কোরিয়া:

দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্টও বেশ শক্তিশালী। এটি ১৮৯ টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।

৪) জার্মানি:

জার্মানির পাসপোর্ট ১৮৮ টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।

৫) সিঙ্গাপুর:

সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট ১৯২ টিরও বেশি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়।

এই তালিকা ছাড়াও আরও কিছু দেশের পাসপোর্ট রয়েছে যা বেশ শক্তিশালী:

  • আইসল্যান্ড: ১৮৮ টি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ
  • ইতালি: ১৮৭ টি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ
  • ফিনল্যান্ড: ১৮৮ টি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ
  • ডেনমার্ক: ১৮৭ টি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ
  • সুইডেন: ১৮৮ টি দেশে ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ

  • Facebook
  • Twitter
  • LinkedIn

 

বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান

বাংলাদেশের পাসপোর্ট বর্তমানে ১১৬ টি দেশে ভিসা-মুক্ত বা ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা প্রদান করে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কিছু জনপ্রিয় দেশ হলো:

  • থাইল্যান্ড
  • মালয়েশিয়া
  • সিঙ্গাপুর
  • ইন্দোনেশিয়া
  • ভুটান
  • নেপাল
  • শ্রীলঙ্কা
  • মালদ্বীপ
  • মরিশাস
  • সেশেলস
  • তুরস্ক
  • জর্জিয়া
  • কাতার
  • ওমান
  • কুয়েত
  • বাহরাইন
  • সৌদি আরব

পাসপোর্টের শক্তি বৃদ্ধির পদক্ষেপ

বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্টের শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • বিভিন্ন দেশের সাথে ভিসা মুক্ত চুক্তি স্বাক্ষর করা: বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে ভিসা মুক্ত চুক্তি করার মাধ্যমে পাসপোর্টের শক্তি বৃদ্ধি করছে, যা দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণকে সহজ করে তুলবে।
  • বাংলাদেশের পাসপোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা: পাসপোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার মাধ্যমে জালিয়াতি এবং অন্যান্য অপব্যবহার রোধ করা হচ্ছে। এর ফলে পাসপোর্টের গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করা: বাংলাদেশ সরকার বিদেশে বসবাসরত বা কর্মরত নাগরিকদের জন্য আরও সুবিধা ও সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের সুযোগ ও সুরক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘরে বসে ই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে ক্লিক করুন

২০২৪ সালে বিশ্বের কিছু শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকা আমাদের দেখিয়েছে যে, বৈশ্বিক সংযোগ এবং নাগরিকদের চলাচলের স্বাধীনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শক্তিশালী পাসপোর্ট শুধু ভ্রমণের সুবিধা দেয় না, এটি একটি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক প্রভাবের প্রতিফলনও বটে। জাপান, সিঙ্গাপুর, এবং জার্মানির মত দেশগুলি তাদের নাগরিকদের জন্য ব্যাপক ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে, যা তাদের বৈশ্বিক অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে তুলেছে।

Pin It on Pinterest